ফাহিম সালেহ’র হত্যাকারী সনাক্ত, হত্যার আগে ব্যবহৃত হয় ট্যাজার গান
খুবই পরিকল্পিত ভাবে রাইড শেয়ারিং পাঠাও-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে খুন করা হয়। ইতোমধ্যেই তার হত্যাকারীকে চিহ্নিত করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
সিসিটিভির ফুটেজ এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করে শনাক্তের কথা বলা হয়েছে। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে হত্যাকারীর নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
তাদের ধারণা, বড় কোনো ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থাকতে পারে ঘটনার নেপথ্যে। যদিও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাহিম হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা ওই ভবনের আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। গোয়েন্দারা স্থানীয় স্টোর, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন এবং সড়কের ট্র্যাফিক ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। এসব ফুটেজে খুনিকে দেখা গেছে কি না সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, খুনিকে সনাক্ত করা গেছে, খুব শিগগির গ্রেফতারও হবে। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে হত্যাকারীর নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এদিকে নিউ ইয়র্ক পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডেইলি বিস্ট জানিয়েছে, অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে ফাহিমের সঙ্গেই প্রবেশ করেছিল সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরিহিত হত্যাকারী। লিফটে সে ফাহিমের সঙ্গে কিছু বার্তাও বলেছিল। তবে এর অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। লিফট থেকে বের হওয়ার পর ফাহিমের পেছনে আসা হত্যাকারী তার হাত উঁচু করেন। এরপরই ফাহিম মেঝেতে পড়ে যান। লিফটের দরজা এরপর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরপরের ঘটনাগুলোর ভিডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
গোয়েন্দারা বলছেন, হত্যাকারী ট্যাজার গান দিয়ে বৈদ্যুতিক শক ছুড়ে মারায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন ফাহিম। পরে তাকে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। মৃতদেহের রক্ত জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল হত্যাকারী। ফলে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে সারারাত অবস্থান করে হন্তারক। পরে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মৃতদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে সে। শরীরের বিভিন্ন অংশ ভারী প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরার সময় লবি থেকে বা বাইরে থেকে কেউ ফাহিমের খোঁজ করতে আসেন। এ সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকারী তার কাজ শেষ করতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পুরোপুরি মুছে ফেলতে গিয়েও ব্যর্থ হয় সে।